"আজানের পূর্বে সালাতু সালাম পাঠ করা জায়েজঃ"
অধ্যক্ষ মুফতি ডাঃ শেখ শিব্বির আহমদ সিরাজনগরী
প্রেন্সিপাল-সিরাজনগর জি এম এস ডিগ্রী মাদ্রাসা৷
#আযানের পূর্বে সালাতু সালাম পাঠ জায়েয৷এই বিষয়ে সিরাজনগর দরবার শরিফের প্রক্ষ থেকে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলেধরা হলো,তাছাড়া বিডিও বার্তার মাধ্যমে বিস্তারিত তুলেদরা হবে।ইনশাআল্লাহ
আল-কোরআন থেকেঃ
পবিত্র কুরআন মাজীদে ইরশাদ করেন,
ان الله ملائكته يصلون على النبى يا ايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما –
অর্থাৎ আল্লাহ ও তাঁর ফেরেস্তাগন রাসূলেমাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরপ্রতি (সদা-সর্বদা) দরুদ পাঠ করে থাকেন। হেঈমানদারগণ তোমরা ও সেই নবীর প্রতি বেশিবেশি শ্রদ্ধাসহকারে দুরুদ (সালাত ও সালাম)পাঠকর। (সূরাহ আহযাব, আয়াত নং- ৫৬)
দুরদ অর্থ হচ্ছে অনুগ্রহ, কল্যাণ প্রার্থনা করা।
আল-হাদিস থেকেঃ
Note: → কুরআন ও হাদিসে দুরুদশরীফ বেশি বেশি পড়ার কথা বলা হয়েছে। তাই যেসব সময় দুরুদ পড়া নিষিদ্ধ (নিচেসর্বজন স্বীকৃত ফতোয়ার কিতাব দ্বারা আলোচনাকরা হয়েছে) তা ব্যতীত সারাদিন দুরুদপড়া জায়েজই নয় বরং সর্বোত্তম।
দলীল নং- ০১:
শেষ অংশের অনুবাদঃ
দোজাহানের কান্ডারী রাহমাতুল্লিল আলামীনেরপ্রখ্যাত সাহাবী হযরত উবাই ইবনে কা’আব (রাঃ)আল্লাহর হাবীবকে লক্ষ্য করে বললেনঃ
اجعل لك صلواتى كلها قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا يكفي همك و يغفر لك ذنبك –
অর্থাৎ (লম্বা হাদিস এর শেষ অংশ)....ইয়ারাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামআমি কি আপনার প্রতি সব সময় দুরুদ পাঠকরতে পারি? তখন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম ঘোষণা করলেন তাহলে তো তোমারচিন্তামুক্ত হওয়ার জন্য ইহাই যথেষ্ট হবে এবংতোমার সকল পাপ ও ক্ষমা করা হবে।
নিষিদ্ধ স্থানে ও সময়ে ব্যাতীত অন্য যে কোনমুহুর্তে দরুদ ও সালাম পাঠ করা মুস্তাহাব, এখানে প্রশ্ন হবে কোন কোন স্থানে দরুদ ও সালাম পাঠ করা নিষেধ,তার জবাবে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী (রহঃ) ঐ শামী কিতাবের একই পৃষ্ঠায় একটু অগ্রসর হয়ে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বর্ননা করেছেন।
অর্থাৎ সাত স্থানে আল্লাহর হাবীবের উপর দরুদ ও সালাম করা নিষেধ!
নিষিদ্ধ স্থান সমূহ ঃ
১/স্বামী- স্ত্রীর মিলন কালে।
২/ প্রশ্রাব-পায়খানার সময়।
৩/ব্যাবসায়ী সমগ্রী প্রচারর্থে।
৪/হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার সময়।
৫/আশ্চর্যজনক কোন ঘটনা শ্রবনকালে।
৬/জবেহ করার সময়।
৭/এবং হাঁছি দেওয়ার সময়।
এই সাত স্থান ব্যাতিত সর্বাবস্থায় আল্লাহর হাবীবের উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করা মুস্তাহাব।।
মহান আল্লাহ তাআ'লা আমাদের সবাইকে যেন একান্ত মহব্বত সহকারে বেশি বেশি করে প্রিয় নবীর প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ করার তাওফিক দান করেন। আমিন