*** কোরআনের বাংলা অনুবাদ***

কোরআনের বাংলা অনুবাদক কে??

চাপা পড়া ইতিহাস,,,,,,,,,

🎇মিথ্যা প্রচারে সত্যটা চাপা পড়ে যায়,,,

🎆গিরিশ চন্দ্র সেন বাংলা ভাষায় কোরআন শরীফের অনুবাদক নয়🎆

💎মুল ইতিহাস হলোঃ-

সর্বপ্রথম ১৮০৮ সালে বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফের আংশিক অনুবাদ করেন মাওলানা আমীরুদ্দীন বসুনিয়া।

এর কিছু দিন পর মাওলানা আমীরউদ্দিন বসুনিয়া ইন্তেকাল করেন।

তার ইন্তেকালের পর পূনরায়

বাংলা ভাষায় কুরআন শরীফের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন মৌলভী নাঈমুদ্দীন ১৮৩৬ সালে। এটাই সত্য ইতিহাস।

🎇কিন্তু সবাই জানি গিরিশচন্দ্র সেন সর্বপ্রথম কোরআনের বাংলা অনুবাদ করেছিলেন,, একথাটি সম্পুর্ন মিথ্যা।

গিরিশচন্দ্র সেন জন্ম গ্রহন করেন ১৮৩৫ সালে আর মৃত্যু হয় ১৯১০ সালে।

গিরিশচন্দ্র সেনের জন্মের ২৭ বছর পূর্বে সর্বপ্রথম কোরআনের আংশিক বাংলা অনুবাদ করেছেন মাওলানা আমিরুদ্দীন বসুনিয়া।

গিরিশচন্দ্র সেনের জন্মের এক বছর পর পুর্নাঙ্গ বাংলায় অনুবাদ করেন মৌলভী নঈমুদ্দীন সাহেব ১৮৩৬ সালে।তাহলে গিরিশচন্দ্র সেন কোরআনের সর্বপ্রথম বাংলা অনুবাদক হলো কিভাবে?

এভাবে বিধর্মীরা মিথ্যা প্রচার করে করে মুসলমানদের সঠিক ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সত্য কখনো চাপা পড়ে থাকে না।

💎গিরিশ চন্দ্র সেন শুধু উক্ত অনুবাদকে পুস্তক আকারে সন্নিবেশ করেছেন, গিরিশ চন্দ্র হচ্ছেন প্রকাশক।

তাও অনেক পরে, ১৮৮৬ সালে।

💎সুতরাং কুরআন শরীফের প্রথম বাংলা অনুবাদক গিরিশচন্দ্র সেন নন,

বরং মৌলভী নাঈমুদ্দীনই পূর্ণাঙ্গ কুরআন শরীফের প্রথম বাংলা অনুবাদক।

আর মাওলানা আমীরুদ্দীন বসুনিয়া হলেন বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন মাজীদের আংশিক অনুবাদক।

🎇গিরিশচন্দ্র সেন আরবি জানতেন না, আরবি ব্যাকরণ জানতেন না-তিনি ছিলেন ফারসি ভাষার পন্ডিত। আরবি ভাষার নয়।

এমন ব্যাক্তি কুরআন অনুবাদ করেছে এমন প্রচার মুর্খতার শামিল ।

🎆বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে যে, গিরিশচন্দ্র সেন আল কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক।

💎এ প্রচারণার কয়েকটি কারণ ছিলঃ-

💎১.বৃটিশ আমলে এদেশে ব্রাহ্মধর্মের একটা জোয়ার এসেছিল।

💎২.গোঁড়া হিন্দু গিরীশ চন্দ্র সেন এক সময় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করেন। ব্রাহ্মধর্ম এ দেশে ছিল একটি নতুন ধর্মমত।

💎৩. এই ব্রাহ্মধর্ম আপামর জনসাধারণের মধ্যে প্রচারের জন্য গিরীশ চন্দ্র নিজে উদ্যোগ গ্রহন করলেন।

💎৪.ব্রাহ্মধর্ম প্রচার করতে অর্থকড়ি লাগবে সেটা কোথায় হতে আসবে তাই তিনি একটি মিশন ও ভিশন আঁকলেন।

🎇টার্গেট অনুযায়ী কয়েকটি কর্মসূচি হাতে নিলেনঃ-

💎১.মুসলমানদের পকেট থেকে টাকা বের করার জন্য বেশকিছু ইসলামী বই রচনা করলেন।

💎২.মাওলানা আমিরুদ্দীন বসুনিয়া ও মৌলভী নঈমুদ্দীন সাহেবের বাংলায় অনুবাদকৃত পবিত্র আল কুরআন পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করলেন নিজে প্রকাশক হয়ে।

💎৩. মুসলমানরা এ বই কিনলো প্রচুর আকারে। তার আয়ের উৎস হয়ে গেলো

ফলে বাংলা ভাষাভাষী যারাই কুরআন মাজীদের বঙ্গানুবাদ হাতে পেতে চাইলো তাদের হাতে পৌঁছে গেল গিরিশচন্দ্র সেনের প্রকাশিত কুরআন মাজীদ।

💎৪.এ ব্যাপারে তাঁকে ব্রাহ্মসমাজ হিন্দু ব্যক্তিবর্গ এমন কি বৃটিশরাও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিলো।

🎆সর্বশেষ ফলাফল হলোঃ--

💎মানুষ মনে করেছে পবিত্র কুরআন মাজীদের প্রথম বঙ্গানুবাদকারী হচ্ছেন গিরীশ চন্দ্র সেন।

💎আসলে পবিত্র কুরআনের প্রথম বঙ্গানুবাদকারী যে মৌলভী মোহাম্মদ নঈমউদ্দীন সে কথা অল্প কিছু লোক জানলেও ব্যাপকভাবে প্রচার করার সুযোগ আসেনি।

💎গিরীশ চন্দ্র কুরআনের অনুবাদ বিক্রি করে যে অর্থ লাভ করতেন তা ব্যয় করতেন ব্রাহ্মধর্ম প্রচার কাজে।

ফলে ব্রাহ্মধর্ম প্রচারের মিশনের সাথে কুরআন বিক্রয়ের একটা গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।

💎মৌলভী মোহাম্মদ নঈমউদ্দীন ছিলেন একজন মুসলমান। তিনি স্বত:প্রণোদিত হয়ে আল কুরআনের বঙ্গানুবাদ করেছিলেন।

তা প্রচারের জন্য গিরীশ চন্দ্র সেনের মতো কোনো মিশন ছিল না।

যার কারণে তার প্রচার প্রসার ছিল সীমিত।

💎মুসলিমরাও নিজেদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে চুপ করে বসে আছে,, তাই মুসলমানদের ইতিহাস প্রচার হয় না।

💎এমনি করেই আল কুরআনের প্রথম বঙ্গানুবাদকারী হয়েও মৌলভী মোহাম্মদ নঈমউদ্দীন গিরীশ চন্দ্র সেনের মতো প্রচার পেতে পারেন নি ।

অতএব

মুসলিমরা তাদের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না সজাগ হও জেগে ওঠো হে ঘুমন্ত মুসলিম জাতি,নিজেদের সঠিক ইতিহাস জানো ,,,,,,

আল্লাহ তুমি আমাদের সহায় হোন,, আমিন,,