top of page
Search
  • Writer's picturemd imran khan

***আমি বড় বুজুর্গ****

ভাবছেন, আপনি তো ভালো ই!! প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। রমজান মাসে সব রোজা রাখেন। দান-সদকাও করেন। প্রায়ই সময় পেলে কুরআন তিলাওয়াত করেন। রাস্তাঘাটে মারামারি করেন না।মদ খান না।


আপনি হয়ত ভাবছেন, আপনি অনেক মানুষের চেয়ে অনেক ভালো। কত মানুষ ই তো রাস্তাঘাটে মারামারি করে। কথায় কথায় ঝগড়া করে।নামাজ ঠিকমতো পড়েনা।


হ্যা,আপনি ভালো। এসব গুণ ভালো। তবে এ কথা ভাববেন না যে আপনি আসলেই খুব ভালো। আপনি কতটুকু ভালো চিন্তা করেছেন কি???


আপনি হয়ত নামাজ পড়েন, কিন্তু নামাজের সময় সর্বদাই আপনার মন দুনিয়াবি চিন্তায় মগ্ন। আপনি কুরআন তিলাওয়াত করেন, অথচ এর অর্থ আপনি কিছুই বুঝেন না।আপনি যাকাত দেন কিন্তু আপনি গরিব দের তুচ্ছ ভাবেন, অবহেলা করেন। আপনি ৩০ টি রোজাই পেলেন, কিন্তু বিগত জীবনের গুনাহ মাফ করাতে পারলেন না। এতে কী ফায়দা আপনি ই বলুন।


বুখারি শরীফের বর্ণনায়, তিন ব্যক্তির জন্য ধ্বংস।

১- বৃদ্ধ বাবা-মা কে পেয়েও যে জান্নাতে যেতে পারলোনা।

২- মহানবী (স.) এর নাম যে শুনবে কিন্তু দরুদ পড়বে না।

৩- যে ৩০ টি রোজা পাওয়া স্বত্ত্বেও নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নিজেকে জান্নাত উপযোগী মানুষ বানাতে পারবে না।


আপনি প্রায়ই সুস্বাদু খাবার খান, অথচ আপনি জানেন ও না আপনার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত। আত্মসম্মানবোধের কারণে হয়ত সে কোনকিছু প্রকাশ করে না। কিন্তু আপনি যা খান প্রতিবেশীকে তা দেওয়া কি আপনার কর্তব্য নয়???


আপনি চান আপনাকে সবাই ভালোবাসুক। তাই সর্বদা নিজের ভালো গুণগুলো সবার সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন এবং অন্যের খারাপ গুণ সবাইকে জানান। অন্য যে মানুষটিকে সবাই পছন্দ করে, তার সাথে প্রকাশ্যে ভালো ব্যবহার করলেও, তার প্রতি সর্বদাই হিংসুক মনোভাব থাকে আপনার।


অথচ মহানবী (স.) বলেছেন-

"তোমরা হিংসা থেকে বেচেঁ থাকো। কেননা আগুন যেমন কাঠকে পুড়িয়ে ফেলে, হিংসাও তেমনি মানুষের সৎকর্মগুলো কে নষ্ট করে ফেলে।" ( আবু দাউদ)


তিনি আরও বলেছেন-

"তিন ব্যক্তির গুনাহ মাফ হয় না। তন্মধ্যে একজন হচ্ছে অন্যের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী।"( আদাবুল মুফরাদ)


তাহলে ভাবুন, আপনি এত ভালো কাজ করেন, কিন্তু এই হিংসা আপনার সমস্ত সৎগুণ নষ্ট করে দিচ্ছে। আর হিংসার কারণে আপনার গুনাহও মাফ হবেন।


আপনি যখন গিবত করেন, তখন ভাবেন কি আপনি কত বড় অপরাধ করছেন??


আমাদের নবী (স.) বলেছেন-

" গিবতকারীকে ততক্ষন পর্যন্ত আল্লাহ মাফ করবেন না, যতক্ষন না যার গিবত করা হচ্ছে সে ব্যক্তি মাফ করবে।" ( বায়হাকি)


আপনি কী করে জানবেন, আপনি যার গিবত করছেন সে আপনাকে মাফ করেছে কি না??


আপনি ভালো কাজ ভেবে মাজারে দোয়া করতে যান। আপনি অনিষ্ট থেকে রক্ষা পেতে তাবিজ পড়েন। অথচ এগুলো শিরক। কারণ একমাত্র আল্লাহ ই পারেন সকল বিপদাপদ থেকে রক্ষা এবং সব দোয়া কবুল করতে। তবে মনে রাখবেন, আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করবেন, কিন্তু শিরকের অপরাধ মাফ করবেন ন।


আপনি যদি ছোটোখাটো মিথ্যা কথাও বলে থাকেন, আপনি মুনাফিক নন কি?? মজা করে বন্ধুদের বিকৃত নামে ডাকছেন যে? এটা তো কবিরা গুনাহ।


প্রতিনিয়ত কতই না গুনাহ করে যাচ্ছেন, অথচ আপনি জানেনও না।


শুধুই কি আপনি?? নাহ। আপনি, আমি এবং লাখো লাখো মুসলিমরা এসব ভুল সবসময়ই করে যাচ্ছে।


একটু সচেতন হলেই কিন্তু এসব ভুল এড়ানো যায় এবং নিজের নেকির পাল্লা আরো ভারী করা যায়। আমাদের প্রবলেম হচ্ছে আমরা অনেক কিছুই করি, কিন্তু দিনশেষে আমরা আত্মসমালোচনা করতেই ভুলে যাই। অথচ অন্যের সমালোচনার অবকাশ না থাকলেও আমরা তা খুজে বের করি। যেকোনো কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা উচিত। নিজেদের পৃথিবীতে থাকার উদ্দেশ্য নিয়ে একটু চিন্তা করুন।প্রতিটি কাজ শেষে আত্মসমালোচনা করুন। অতঃপর ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করুন।


জীবনের এসব ছোটো ছোটো ভুলগুলোকে শোধরিয়েই দেখুন না, জীবনটা কত আনন্দময়!!!!!!!!


- from group Come back to ALLAH (মাহসিনা খান নাবিলা)

2 views0 comments

Recent Posts

See All

হজরত লুত আ: জাতির ধ্বংস

হজরত লুত আঃ জাতির ধবংস হয় যে ভাবে। আল্লাহর হুকুমে কয়েকজন ফেরেশতা মানুষের রূপ ধারণ করে প্রথমে হযরত ইবরাহীমের বাড়ীতে পদার্পণ করলেন। তিনি তাদেরকে মেহমানদারীর জন্য একটা আস্ত বাছুর গরু যবেহ করে ভুনা করে তা

*** আদ জাতির ধ্বংস***

কওমে ‘আদ-এর উপরে আপতিত গযব-এর বিবরণ : মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক বলেন, কওমে ‘আদ-এর অমার্জনীয় হঠকারিতার ফলে প্রাথমিক গযব হিসাবে উপর্যুপরি তিন বছর বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকে। তাদের শস্যক্ষেত সমূহ শুষ্ক বালুকাময় মরুভ

***দোয়ার আমল***

বর্তমান মহা সংকট পূর্ণ সময়ে, খুব গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী ৮টি দোয়া, অর্থ সহ উল্লেখ করা হয়েছে, দয়াকরে আসুন মনোযোগ দিয়ে পড়ি, আমল করে সৌভাগ্যবান হই,বিপদ মসিবত,আজাব গজব থেকে বাঁচার আকুতি জানাই ---- ১)আল্লাহুম

bottom of page